ব্যাপকভাবে অ্যাসিম্পটম্যাটিক (লক্ষণ-বিহীন) টেস্টিং প্রোগ্রাম পরিচালনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ভিক্টোরিয়া। রাজ্যটিতে টানা ১১ দিন ধরে নতুন কোনো করোনাভাইরাস সংক্রমণ সনাক্ত করা হয় নি।
মঙ্গলবার ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস (ডি-এইচ-এইচ-এস) রিপোর্ট করেছে যে, একটানা ১১ দিন ধরে রাজ্যটিতে নতুন করে কেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয় নি।
শনিবার পর্যন্ত রহস্যময় কেসগুলোর সংখ্যা দুই থেকে এক-এ নেমে এসেছে। রাজ্যটিতে সক্রিয় কেস রয়েছে চারটি আর পরীক্ষা করা হয়েচে ১২,৯৫৫ জনকে।
ডি-এইচ-এইচ-এস টেস্টিং কর্মকর্তা জেরন উইমার ব্যাপকভাবে টেস্ট করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোনো বিশেষ এলাকাকে লক্ষ্যস্থল করা হচ্ছে না।
3AW-কে তিনি বলেন,
“আমরা এখনও অনুভব করছি যে, আমাদের সমাজে ভাইরাসটি বিস্তৃত হওয়ার চিহ্ন এখনও রয়েছে।”
ডি-এইচ-এইচ-এস ইতোমধ্যে কিছু অ্যাসিম্পটম্যাটিক টেস্টিং করেছে। তবে, বেশিরভাগ নমুনা এসেছে লক্ষণ ও উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে।
ভিক্টোরিয়ায় জন-জীবন ধীরে ধীরে “কোভিড-স্বাভাবিক” হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং সেখানকার বাসিন্দারা বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাচ্ছেন।
মেলবোর্ন থেকে রিজিওনাল ভিক্টোরিয়ায় ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণের সীমা তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাস্তায় চাপ বেড়েছে এবং যান-বাহন চলাচল অনেক ধীর হয়ে গেছে বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
চেক-পয়েন্টগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছিল পুলিশ। এর ফলেও যান-বাহন ধীরে চলতে বাধ্য হয়।
আগামী শুক্রবার ফেডারেশন স্কয়ারে অবস্থিত ইয়ান পটার সেন্টার পুনরায় খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দ্য ন্যাশনাল গ্যালারি অফ ভিক্টোরিয়া। ক্রিসমাসের আগে এর মেইন সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন পেট্রনরা।
প্রায় চার মাস লকডাউনের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে মেলবোর্ন। সেখানে জিম, মিউজিয়াম এবং সিনেমাগুলোতে ২০ জন পর্যন্ত যাওয়া যাবে।
পাব, রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফেগুলোতেও আউটডোর এবং ইনডোরে পেট্রন-সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে, সোমবার পর্যন্ত রাজ্যটিতে একটানা ১০ দিন ধরে নতুন কোনো করোনা-সংক্রমণ সনাক্ত হয় নি এবং করোনা-আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয় নি। তবে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা একজন ভ্রমণকারীর টেস্ট রেজাল্ট পজেটিভ হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে ভিক্টোরিয়ায় আসার আগে সেই ব্যক্তি ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। নিয়ম অনুসারে এই ঘটনাটি “ভাইরাল শেডিং”-এর অন্তর্ভুক্ত। তাই, সোমবারের হিসাবের মধ্যে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি।
ভিক্টোরিয়া এখন টেস্টিংয়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব আরোপ করছে।
সোমবার ১০,৩৬৫ টি টেস্ট করা হয়েছে। টেস্টিং কমান্ডার জেরন উইমার আত্মবিশ্বাসী যে, তার টিম পুরো রাজ্য জুড়ে টেস্ট করছে। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, এই ভাইরাসটি এখনও সমাজে অসনাক্ত অবস্থায় রয়ে গেছে। রাজ্যটিতে সক্রিয় কেস সংখ্যা এখন চারটিতে অপরিবর্তিত রয়েছে।
রবিবার বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পর এখন বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের নিয়ম নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। ডেকিন ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলজির চেয়ার ক্যাথেরিন বেনেট বিস্ময় প্রকাশ করেন যে, এগুলো এখনও পরিবর্তন করা হয় নি।
মিস্টার উইমার বলেন, মাত্র দু’সপ্তাহেরও কম সময় আগে মেলবোর্নে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। তার মতে, মাস্ক পরিধান করা “আমরা যা অর্জন করেছি তা সুরক্ষিত করার জন্য খুবই গুরুতর উপাদান।”
রাজ্যটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮১৯ জন মারা গেছেন এবং পুরো অস্ট্রেলিয়ায় এই সংখ্যা ৯০৭ জন।
অস্ট্রেলিয়ার জনগণকে অবশ্যই পরস্পরের মাঝে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জন-সমাগমের সীমা সম্পর্কে জানতে আপনার রাজ্যের নিষেধাজ্ঞাগুলো দেখুন।
আপনার মাঝে যদি সর্দি-কাশির (কোল্ড কিংবা ফ্লু) লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে ঘরে অবস্থান করুন এবং আপনার ডাক্তারকে কল করে কিংবা করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইন, 1800 020 080 নম্বরে কল করে টেস্টের ব্যবস্থা করুন।
আপনার যদি শ্বাস-কষ্ট কিংবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তাহলে 000 নম্বরে কল করুন।
Please check the relevant guidelines for your state or territory: , , , , , , .