রিজিওনাল নিউ সাউথ ওয়েলসের জন্য সীমান্ত পুনরায় খুলে দিতে যাচ্ছে কুইন্সল্যান্ড। তবে, সিডনি এবং ভিক্টোরিয়া এখনো তাদের কোভিড-১৯ বর্ডার ব্ল্যাকলিস্টে থাকছে।
কুইন্সল্যান্ডের ডেপুটি প্রিমিয়ার স্টিভেন মাইলস বলেন, যারা ভিক্টোরিয়ার মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করবেন তাদের জন্য এবং গ্রেটার সিডনির ৩২ টি লোকাল গভার্নমেন্ট এরিয়ার জন্য সীমান্ত বন্ধ থাকবে।
বর্তমান নিষেধাজ্ঞাগুলো মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১:০০ এএম থেকে শিথিল করা হবে।
চিফ হেলথ অফিসার জেনেট ইয়াং বলেন, সিডনি এলাকায় চলমান রহস্যজনক কোভিড-১৯ প্রাদূর্ভাবের বিষয়ে তিনি অবহিত। সিডনির বাসিন্দাদেরকে কুইন্সল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন,
“গতকাল তাদের চারটি নতুন কেস ছিল। আর, সেগুলোর মধ্যে একটির ক্ষেত্রে জ্ঞাত কোনো ক্লাস্টারের সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজে পায় নি তারা।”
“(এর) মানে হলো যে, তাদের ওখানে সংক্রমণ আছে এবং তারা জানে না যে, এটা কোথা থেকে আসছে।”
নিউ সাউথ ওয়েলস এবং কুইন্সল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত গত আগস্ট মাসে বন্ধ করা হয়। কুইন্সল্যান্ড বলেছিল, নিউ সাউথ ওয়েলস যদি কমিউনিটিতে ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় তাহলে ১ নভেম্বর থেকে কুইন্সল্যান্ড তাদের জন্য সীমান্ত পুনরায় খুলে দিবে।
প্রিমিয়ার অ্যানেস্টেশিয়া প্যালাশে বার বার বলেছেন, খুব আগেভাগে সীমান্ত পুনরায় খুলে দিয়ে তিনি কুইন্সল্যান্ডারদের জীবন ঝুঁকিগ্রস্ত করতে চান না।

six people linked to the quarantine hotel in Brisbane contracted the highly contagious U-K variant of coronavirus Source: AAP
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার গোল্ডকোস্টে এক প্রচারাভিযানে তিনি বলেন,
“কুইন্সল্যান্ডবাসীকে নিরাপদ রাখার জন্য যা করা দরকার আমি তা-ই করবো।”
রাজ্য নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে দেখো দিয়েছে সীমান্ত ইস্যুটি। ভোটারদেরকে সতর্ক করে লেবার দল বলছে, ভাইরাস থেকে কমিউনিটিকে বাঁচাতে ভাল সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না লিবারাল ন্যাশনাল পার্টি। তাই তাদের প্রতি আস্থা রাখা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিক্লিয়ানও এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। তারা দু’জনই অচিরেই সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য কুইন্সল্যান্ডকে আহ্বান জানাচ্ছেন।
ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোও একই সুর তুলেছে। তারা বলছে সীমান্ত বন্ধ থাকলে বাণিজ্য ব্যাহত হয় এবং মুনাফা কমে যায়।
নিউ সাউথ ওয়েলসের সঙ্গে কুইন্সল্যান্ডের সীমান্ত ৮ আগস্ট বন্ধ করা হয়ে। সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা, অপরিহার্য কর্মীরা, পণ্য পরিবহনকারী ড্রাইভাররা এবং মেডিকেল ও কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে ছাড়া পাওয়া ব্যক্তিরাই কেবল সীমান্ত অতিক্রম করতে পারেন।
নর্দার্ন নিউ সাউথ ওয়েলসের অনেকগুলো এলাকার জন্য একটি বর্ডার বাবল কার্যকর রয়েছে। বায়রন বে থেকে আরও দক্ষিণের কমিউনিটিগুলো কুইন্সল্যান্ডে যাওয়া-আসা করতে পারে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কুইন্সল্যান্ডে নতুন মাত্র এক জনের মাঝে করোনাভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে। তিনি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার জনগণকে অবশ্যই পরস্পরের মাঝে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জন-সমাগমের সীমা সম্পর্কে জানতে আপনার রাজ্যের নিষেধাজ্ঞাগুলো দেখুন।
আপনার মাঝে যদি সর্দি-কাশির (কোল্ড কিংবা ফ্লু) লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে ঘরে অবস্থান করুন এবং আপনার ডাক্তারকে কল করে কিংবা করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইন, 1800 020 080 নম্বরে কল করে টেস্টের ব্যবস্থা করুন।
আপনার যদি শ্বাস-কষ্ট কিংবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তাহলে 000 নম্বরে কল করুন।
Please check the relevant guidelines for your state or territory: , , , , , , .