পার্লামেন্টে ইন্ডিজিনাস ভয়েসের বিপক্ষে বা 'নো প্রচারাভিযানকারীরা' ফেডারেল অর্থ কীভাবে ব্যয় করা হচ্ছে তা তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, অন্যদিকে একটি নতুন জরিপ বলছে সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রত্যাশীরা ধারণা করছে 'ইয়েস'-এর অনুকূলে আনতে ফলাফল নিশ্চিত করার জন্য এখনও সময় আছে।
গত মঙ্গলবার প্রাথমিক ভোট কেন্দ্রগুলি খোলার পর অবশেষে নিউ সাউথ ওয়েলস, এ-সি-টি, কুইন্সল্যান্ড এবং সাউথ অস্ট্রেলিয়াতে ভয়েস টু পার্লামেন্টের জন্য প্রি-পোলিং শুরু হয়েছে।
নর্দার্ন টেরিটরি, টাসম্যানিয়া, ভিক্টোরিয়া এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার জনগণ ২ অক্টোবর থেকে ভোট দেওয়া শুরু করে।
সিডনির একটি প্রি-পোলিং বুথে, যারা "হ্যাঁ" সমর্থক তারা প্রকাশ্যে সবাইকে বলছেন কেন তারা মনে করেন এটি একটি ভাল ধারণা৷
একজন বলছেন, আমরা যদি এর বড় চিত্রটি বুঝি তাহলে বলবো, ফার্স্ট নেশন জনগোষ্ঠীর একটি ভয়েস থাকা প্রয়োজন।
কিন্তু পার্থে, ভয়েসের বিরুদ্ধে "না" বলছে এমন লোকেরা একত্রিত হয়েছিল। তাদের জোর সমর্থকরা যুক্তি দিয়ে বলছে যে, সরকার কিভাবে অর্থ ব্যয় করবে তার তদন্ত হওয়া উচিত।
ওয়ারেন মুন্ডাইন, যিনি এটির বিপক্ষে, তিনি সমর্থকদের প্রশংসা পেয়ে পোডিয়ামে নাচছিলেন।
তিনি কীভাবে আদিবাসী ফার্স্ট নেশন জনগোষ্ঠী এবং অভিবাসীরা অস্ট্রেলিয়াকে মহান করতে সাহায্য করেছে সে সম্পর্কে কথা বলেন।
তিনি বলেন যে এখনও মানুষ লড়াই করছে এবং তাদেরও সাহায্য দরকার।
নো ক্যাম্পেইনার সিনেটর জ্যাসিন্টা নাম্পিজিনপা প্রাইসকে সকলে দাঁড়িয়ে সম্মান জানায়।
তিনি ভয়েসের বিরোধিতা করে বলেন, আলবানিজি সরকার এই ধারণাটি ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি বলছেন, আমরা আগে যা করিনি এখন তা করব, এই বিলিয়ন ডলার কোথায় ব্যয় হয় তা খুঁজে বের করব।
বড় পর্দায় নো ক্যাম্পেইন নিয়ে একটি বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, যেখানে কর্পোরেট সমর্থক যারা "হ্যাঁ" প্রচার সমর্থন করে তাদের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
ম্যাথিউ শিহান, যিনি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, তিনি "হ্যাঁ" প্রচারাভিযানকে সমর্থনকারী অভিজাত শ্রেণীর লোকদেরও সমালোচনা করেন।
তিনি বলছেন যে, তারা নিজেদের উচ্চমন্য ভাবে, আমাদের সাথে এমন আচরণ করে যেন আমরা বোকা, এবং আমি "ভয়েস" বন্ধ করতে তাদের একটি বার্তা পাঠাতে চাই যে, যখন আমরা আমাদের পরিবার এবং দেশ নিয়ে কথা বলি তখন তোমরা আমাদের যেভাবে অবজ্ঞা করো তাতে আমরা ক্লান্ত।
মঙ্গলবার অ্যাডিলেডে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজি বলেছেন যে "না" প্রচারকারীরা ভয়েসের আসল বিষয়গুলি এড়িয়ে যাচ্ছে।
তিনি মনে করেন যে আদিবাসীদের প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলি সম্পর্কে তাদের কথা সরকারের শোনা উচিত।
একটি জরিপে দেখা গেছে আরও বেশি লোক "হ্যাঁ" প্রচারাভিযানকে সমর্থন করতে শুরু করেছে, যা তাদের প্রচারে গতি এনেছে।
সর্বশেষ গার্ডিয়ান এসেনশিয়াল পোল থেকে দেখা যায়, ৪৩% অস্ট্রেলিয়ান এখন "হ্যাঁ" ভোট দিতে চান, যা আগের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি। কিন্তু ৪৯% এখনও "না" ভোট দিতে চান যদিও এই হার আগের চেয়ে ২ পয়েন্ট কমেছে এবং ৮% এখনো নিশ্চিত নন।
তবে উভয় পক্ষে যারা ভোট নিয়ে নরম হয়ে আছে বা কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যায়নি তাদের হার ২৮ শতাংশ। তাছাড়া মার্জিন অফ এরর ৩ শতাংশ ধরা হচ্ছে।
এদিকে রাগবি লিগ তারকা নাথান ক্লিয়ারি "হ্যাঁ" প্রচারাভিযানকে সমর্থন করেন এবং যারা আশা করছেন সংবিধানের পরিবর্তন একটি বাস্তবতা তাদের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন।
এই প্রচারণার সময় নিবিড়ভাবে ভোট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে প্রতি সপ্তাহে। আমরা আগামী ১৪ অক্টোবর, দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে জানবো জনগণ কি ভাবছে।
২০২৩ সালের ইন্ডিজিনাস ভয়েস টু পার্লামেন্ট গণভোট সম্পর্কে আরো জানুন এসবিএস নেটওয়ার্ক থেকে, সেইসাথে এনআইটিভির মাধ্যমে ফার্স্ট নেশন্স পরিপ্রেক্ষিত থেকেও জানতে পারেন।
থেকে আর্টিক্যাল, ভিডিও এবং পডকাস্ট শুনুন ৬০টিরও বেশি ভাষায়, অথবা থেকে দেখুন সর্বশেষ খবর এবং বিশ্লেষণ, ডকুমেন্টারি এবং বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
প্রতিবেদনটি পড়তে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
এসবিএস রেডিও সম্প্রচার-সূচী হালনাগাদ করছে । ৫ অক্টোবর থেকে নতুন চ্যানেলে, পরিবর্তিত সময়ে সরাসরি সম্প্রচার শোনা যাবে।
প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায়, এসবিএস পপদেশীতে আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন, লাইভ।
কিংবা, বিদ্যমান সময়সূচীতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শোনা চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতি সোম ও শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, এসবিএস-২ তে।

৫ অক্টোবর থেকে নতুন চ্যানেলে ও নতুন সময়ে যাচ্ছে SBS Bangla Credit: SBS