"(ইন্ডিজেনাসদের জন্য সংসদে) একটি ভয়েসের ধারণাটি জনগণের কাছ থেকে এসেছে, এবং জনগণই সে সিদ্ধান্ত নেবে। আজ আমি ঘোষণা করছি যে ১৪ অক্টোবর হবে গণভোটের দিন," - এভাবেই প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজি গত সপ্তাহে ১৪ অক্টোবর ইন্ডিজেনাস ভয়েস টু পার্লামেন্ট গণভোটের তারিখ ঘোষণা করেছেন।
ভোটটি নির্ধারণ করবে যে ভয়েস, বিশেষ করে ইন্ডিজেনাসদের প্রভাবিত করার বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদানকারী সংস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা।
ঘোষণাটি করা হয়েছিল অ্যাডিলেডের উত্তরে একটি শহরতলীতে। গণভোটে হ্যাঁ এবং না উভয় প্রচারকরাই জয়ের জন্য ফলাফল নির্ধারণী স্টেট হিসেবে সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে গণ্য করছে।
মি. আলবানিজি 'অস্ট্রেলিয়ানরা পরিবর্তনের এই আহ্বানের উত্তর দিতে একত্রিত হয়' - এটি বিবৃত করে আসন্ন গণভোটকে অস্ট্রেলিয়ার সংবিধানের আগের পরিবর্তনের সাথে তুলনা করেছেন।
গণভোট সফল হওয়ার জন্য, সমগ্র দেশ জুড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ অস্ট্রেলিয়ান এবং অন্তত চারটি স্টেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের সমর্থন প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক জরীপে দেখা গেছে যে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ভয়েসের সমর্থনে 'হ্যাঁ' ভোটের দিকে এবং টাসম্যানিয়া 'না' ভোটের দিকে ঝুঁকেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়া 'হ্যাঁ' ভোট দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, অন্যদিকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া এবং কুইন্সল্যান্ড 'না' ভোটের দিকে ঝুঁকছে।
উলুরু ডায়ালগের কো-চেয়ার, অধ্যাপক মেগান ডেভিস বলেছেন, আঞ্চলিক সংলাপে ফার্স্ট নেশনস পুরুষ ও মহিলারা গণতান্ত্রিক জীবনে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি চান।
ফাইন্যান্স মিনিস্টার ক্যাটি গ্যালাঘের ক্যানবেরায় প্রচারণা চালাচ্ছেন, এবং তিনি বলছেন ভয়েস ফার্স্ট নেশনস জনগোষ্ঠীর জন্য আরও ভাল ফলাফল বয়ে আনবে।
১৯৯৯ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটি প্রথম গণভোট, সেসময় অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা রিপাবলিক বা প্রজাতন্ত্র হওয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়।
ব্যাপ্টিস্ট মিনিস্টার টিম কস্টেলো ভয়েসের জন্য সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে চার্চ নেতাদের কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।
তিনি গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদী বৈষম্যের অবসান ঘটাতে মার্টিন লুথার কিংয়ের লড়াইয়ের সময় চার্চের বিরোধিতার ঘটনার সাথে এই বিষয়টি সমান্তরালভাবে চিত্রিত করছেন।
মি. কস্টেলো এসবিএসকে বলেন যে তিনি সংসদে ইন্ডিজেনাস ভয়েসের পক্ষে কথা বলতে অস্ট্রেলিয়ার চার্চ নেতাদের অনুরূপ অনিচ্ছাই প্রত্যক্ষ করেছেন।
এদিকে 'না' প্রচারকারী নেতা ওয়ারেন মুন্ডাইন ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানাতে সিনেটর জ্যাসিন্টা প্রাইসের মতই একই ধরণের মতামত দেন।
মি. মুন্ডাইন, গিলমোরের আসনের প্রাক্তন লিবারেল প্রার্থী ছিলেন এবং একবার লেবার পার্টির জাতীয় সভাপতি ছিলেন। তিনি মি. আলবানিজিকে বিভক্তি সৃষ্টি করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
এসবিএস ভয়েস রেফারেন্ডাম পোর্টালে গিয়ে গণভোট সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য পেতে দেখুন
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা অডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।