ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবস উপলক্ষে গত ১৭ অক্টোবর, শনিবার অস্ট্রেলিয়াতে এক ভার্চুয়াল স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে জুম অ্যাপের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরব প্রার্থনা করা হয়। এরপর ভক্তিগীতি ও কোরাস গেয়ে ওই ঘটনার তাৎপর্য ফুঁটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।

Jagannath Hall Tragedy Day. Source: SBS Bangla
পুরো অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে অ্যালামনাই-এর সদস্য/পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনটি সংগীত পরিবেশন করেন। এরা ছিলেন- জ্যোতি বিশ্বাস, পলাশ বসাক, অদিতি রাউথ, জয়ন্তি চৌধুরী, বর্ণালী রায়, অভিজিত সরকার, পলাশ বিশ্বাস, তপন শীল, মনোজ সাহা ও পলাশ দেবনাথ। আর আবৃত্তি করেন সুব্রত সরকার পুরু, পলাশ বিশ্বাস ও রিপা দেব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা ঢাবি শোক দিবসের ইতিহাস ও কার্যকারণ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কয়েকটি বিষয়ের ওপর জোর দেন। সেগুলো হলো- জগন্নাথ হলের ভবন ধ্বসের পরবর্তীতে আহতদের সাহায্যে এগিয়ে আসা সর্বস্তরের মানুষের সহ-মানবতার প্রকাশ, দুর্ঘটনা পরবর্তী তদন্তের রিপোর্ট অদ্যাবধি জনসমক্ষে প্রকাশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ এবং অনতি-বিলম্বে সে রিপোর্ট প্রকাশ ও সেই রিপোর্ট অনুযায়ী এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা অপরাধীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা, নিহত ও আহতদের নিজস্ব ও পরিবারের বর্তমান পরিস্থিতি জানা ও প্রয়োজনীয় সাহায্যের উদ্যোগ নেয়া।

Jagannath Hall Tragedy Day. Source: SBS Bangla
আশীষবরণ রায়ের সভাপতিত্বে এবং তুষার রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আকখারুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মান্যবর হাইকমিশনার মোহম্মদ সুফিউর রহমান। আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জগন্নাথ হলের বর্তমান প্রোভোস্ট শ্রী মিহির লাল সাহা, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী রঞ্জন কর্মকার, ও জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Source: Shatadal Talukder