কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে চার জন নভশ্চরের নাম ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। চার জনই ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসার। এঁরা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বালাকৃষ্ণণ নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণান এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে নিজের হাতে তাদের অ্যাস্ট্রোনাট উইং পরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরেই তিনি বলেছেন, এই চার নভশ্চর শুধু চারটি নাম, আর চার ব্যক্তি নন। তাঁরা ১৪০ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার চার শক্তি।
উল্লেখ্য, ৪০ বছর পরে এবার কোনও ভারতীয় মহাকাশে যেতে চলেছেন। এর আগে রকেট ছিল বিদেশী সংস্থার। তবে এবার, সময়ও ভারতের, কাউন্টডাউনও করবে ভারত। আর রকেটও ভারতের। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, এই চার জন বর্তমান ভারতের বিশ্বাস, শৌর্য, গৌরব ও সাহস। ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার কিংবা গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এই চার জন। জানা গেছে, বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভশ্চর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের। বায়ুসেনারই ইনস্টিটিউট অফ এরোস্পেস মেডিসিনে এই চার জনকে বেছে নেওয়া হয়। বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাঁদের নাম ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিকে, সম্প্রতি গগনযানের সিই টোয়েন্টি ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনটি সফলভাবে পরীক্ষা করে দেখেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইসরো। ঐ ইঞ্জিন গগনযানের একটি বিশেষ পর্যায়ে মহাকাশচারীদের শক্তি যোগাবে বলে জানা গিয়েছে। ক্রায়োজেনিক পর্যায়ে যখন আশপাশের তাপমাত্রা অত্যন্ত কম থাকে, ওই সময়ে ইঞ্জিনটি কাজে লাগবে বলে জানিয়েছে ইসরো।
বলা হচ্ছে, ইসরোর মহাকাশচারীদের যে যানে করে গগনযান অভিযানে পাঠানো হবে, তার নাম লঞ্চ ভেহিক্ল মার্ক ৩, এলভিএমথ্রি। এদিকে, গত বছর থেকেই গগনযানের একাধিক যন্ত্রপাতির পরীক্ষানিরীক্ষা করে চলেছে ইসরো। ২০১৯ সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার বা ইসরো এবং রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা গ্লাভকসমসের মধ্যে একটি ‘মউ’ মানে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। তার পর সম্ভাব্য অন্য নভশ্চরদের সঙ্গে রাশিয়ার ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই চার জনকেও। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে।
মহাকাশের ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে মানুষকে পাঠানোর যে পরিকল্পনা, তার অঙ্গ হিসেবে গত অক্টোবর মাসেই পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশে মানববিহীন গগনযান পাঠায় ইসরো। মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পর কীভাবে তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায়, তা খুঁটিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়।
গগনযানের উৎক্ষেপণ সফল হলে দ্বিতীয় ধাপে ব্যোমমিত্রা বলে একটি রোবটকে মহাকাশে পাঠাবে ইসরো। সেই অভিযান সফল হলে ২০২৪-২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হবে। তিন দিন মহাকাশে থাকার পর চার মহাকাশচারীকে নিয়ে ফিরে আসবে গগনযান।
এসবিএস রেডিও সম্প্রচার-সূচী হালনাগাদ করেছে, এখন থেকে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায়, এসবিএস পপদেশীতে আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন, লাইভ।
কিংবা, পুরনো সময়সূচীতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শোনা চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতি সোম ও শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, এসবিএস-২ এ।
৫ অক্টোবর থেকে নতুন চ্যানেলে ও নতুন সময়ে যাচ্ছে SBS Bangla Credit: SBS
রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: এ সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন: