ভারতে নাইট কার্ফিউ বা কন্টেনমেন্ট জোনের মতো বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলেও, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার নিয়ম জারি থাকবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব অজয় ভাল্লা সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ২০২০-এর ২৪ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ রুখতে শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, টিকাকরণ-সহ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল।
গত সাত সপ্তাহে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। সাধারণ মানুষও সংক্রমণ রুখতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, সেই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন হয়ে উঠেছে বলে বলা হচ্ছে। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কেন্দ্রের প্রস্তুতি ও সার্বিক করোনা পরিস্থিতির উন্নতির দিকটি বিবেচনা করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের যে বিধিগুলি জারি করা হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হবে।
READ MORE

নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
২০২০ সালে ভারতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ২৪ মার্চ বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫ এর অধীনে সংক্রমণ রুখতে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছিল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা বলেছেন, কোভিড সংক্রান্ত যে-সব বিধিনিষেধ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল রয়েছে, নতুন করে আর কোনও নির্দেশ জারি করা হবে না। তবে মাস্ক, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্বের মতো বিষয়গুলি বহাল থাকবে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি কখন কোন দিকে মোড় নিচ্ছে সে বিষয়েও জনসাধারণকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর ২০২০ এর ২৪ মার্চ কোভিডবিধি সংক্রান্ত প্রথম নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার পর সময়ে সময়ে সেই নির্দেশিকা বদলানো হয়েছে, নতুন কোভিডবিধি জারি করা হয়েছে। সংক্রমণের ছবি যেভাবে বদলেছে, ধাপে ধাপে সেভাবেও কোভিড বিধিনিষেধে শিথিলতা আনা হয়েছে। তবে সংক্রমণের শুরু থেকে দু’বছর পেরিয়ে এই সময়ে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তা ছাড়া দেশ জুড়ে টিকাকরণের কাজও যথেষ্ট সন্তোষজনকভাবে হয়েছে বলা হচ্ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
READ MORE

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্কের অগ্রগতি
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে গত দু’বছর ধরে লাগাতার যোগাযোগ রেখে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। কোথায় কীভাবে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা হচ্ছে, কোথায় সংক্রমণ বাড়ছে, কোথায় কমছে, কত পরীক্ষা হচ্ছে, টিকারকরণ, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, চিকিৎসা-সহ একাধিক বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, অতিমারি সামাল দেওয়ার জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো-সহ একাধিক বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোভিড নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার মাত্রা অনেক বেশি বেড়েছে। কোভিডবিধি ঠিক মতো মেনে চলার ক্ষেত্রেও তাঁরা অনেক সচেতন হয়েছেন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: