করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর কারণে বাংলাদেশে আটকে পড়া অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ও স্থায়ী অভিবাসীরা অনেকেই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে চাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বিশেষ একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে প্রথম দফায় তাদের একটি দলকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল শুক্রবার শ্রী লঙ্কান এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি মেলবোর্নে দুপুর ২.২০ এ পৌঁছে।
এই ফ্লাইটির মাধ্যমে তাদের সবাইকে নিয়ে আসা সম্ভব হয় নি। তাই ফিরে আসতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ও স্থায়ী অভিবাসীদের জন্য দ্বিতীয় একটি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন। তাদের বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার-এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ প্রকাশ করা হয়েছে। নানা রকম সীমাবদ্ধতার কারণে এই ফ্লাইটটির ব্যবস্থা করা আদৌ সম্ভব হবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই বিশেষ বাণিজ্যিক ফ্লাইটটির ব্যবস্থা করা যদি সম্ভব হয়, তাহলে পরবর্তীতে টিকিটের মূল্য, যাত্রার তারিখ ইত্যাদি তথ্য জানানো হবে।
যারা এভাবে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে চান তাদেরকে একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম (এমএস এক্সেল ফাইল) ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে এবং সেটি consular.dhaka@dfat.gov.au ঠিকানায় ই-মেইল করতে হবে।
ফর্মটি তেমন জটিল নয়। নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর ইত্যাদি ছাড়াও এতে জানতে চাওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় এসে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে। আপনি কি একাকী, নাকি দু’জন বা পরিবারসহ একই স্থানে কোয়ারেন্টিন করতে চান সে বিষয়ে।
হাই কমিশনের ওয়েবসাইটে এই রেজিস্ট্রেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ সম্পর্কে বলা হয় নি। তবে, তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত ২০ এপ্রিল একটি পোস্টে বলা হয়েছে ২৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার মধ্যে পাঠাতে। আরও বলা হয়েছে, তারা শুধুমাত্র এই ফর্মটিই গ্রহণ করবে। এই ফর্মটিতে কোনো পরিবর্তন করা যাবে না এবং সকল তথ্যই দিতে হবে। নিজের তথ্য এবং শুধুমাত্র নিজের পরিবারের তথ্যই এতে দেওয়া যাবে। বাকিদেরকে আলাদাভাবে ফর্ম পূরণ করতে হবে।
২০ এপ্রিল তাদের ফেসবুক পেজে আরও একটি পোস্টে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার কোন সিটিতে ফ্লাইটটি অবতরণ করবে তা মূলত নির্ভর করবে সেই সিটি কতো জন যাত্রী গ্রহণ করতে পারবে সেই সংখ্যার উপর। নিজের পছন্দের সিটিতে সরাসরি যাওয়ার সুযোগ না-ও মিলতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিশেষ ফ্লাইটগুলোর জন্য মেলবোর্নই একমাত্র পোর্ট অফ এন্ট্রি। যাত্রীরা সেখান থেকে সিডনি কিংবা অন্যান্য রাজ্যে যেতে পারবেন মেলবোর্নে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকার পর। কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়কালের যাবতীয় ব্যয়-ভার অস্ট্রেলিয়ান সরকার বহন করবে।
যাত্রীরা নিজ খরচে ডমেস্টিক ট্রাভেলের জন্য আগেভাগেই বুকিং দিয়ে রাখতে পারবেন।
পরিশেষে তারা সতর্ক করে বলেছে, যারা এই ফ্লাইটটি মিস করবেন তাদেরকে পরবর্তী ফ্লাইটের জন্য বাংলাদেশে কয়েক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
বাংলাদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ও স্থায়ী অভিবাসীদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল সিডনির মাল্টিকালচারাল সোসাইটি অফ ক্যাম্পবেলটাউন ইনক। সংগঠনটির সভাপতি এনাম হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এবং জেনারেল সেক্রেটারি মো. শফিকুল আলম স্ব-উদ্যোগে ডিপার্টমেন্ট অফ ইমিগ্রেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন এবং বাংলাদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদেরকে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেন।
অস্ট্রেলিয়ানদেরকে অবশ্যই পরস্পরের মাঝে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্যদের সঙ্গে হলে দু’জনের বেশি একত্রিত হওয়া যাবে না।

Source: SBS
আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে আপনার ডাক্তারকে কল করুন। ডাক্তারের কাছে যাবেন না। আপনি ন্যাশনাল করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইনেও কল করতে পারেন এই নম্বরে: 1800 020 080

Source: SBS
আপনার যদি শ্বাস-কষ্ট কিংবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তাহলে 000 নম্বরে কল করুন।
আপনার ভাষায় কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ আপডেট জানাতে এসবিএস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৬৩ টি ভাষায় এ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য পাবেন। ভিজিট করুন: .

Source: SBS
বাংলায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক আমাদের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ভিজিট করুন: